অজানাকে জানার লক্ষে...

Tuesday 21 July 2020

মহাকাশে কেউ মারা গেলে তার সাথে কী ঘটবে? সে কি কঙ্কাল হয়ে যাবে?

মানুষ যখন থেকে রকেটে চেপে পৃথিবীর বাইরে যাওয়া শুরু করেছে, তখন থেকে এ পর্যন্ত ১৮ জন নভোচারীর মৃত্যু ঘটেছে।

একটা তথ্য দিয়ে রাখি, এপোলো-১১ এর নভোচারীরা যখন চন্দ্রজয় করতে গেলেন, তখন তাঁরা যদি মারা যেতেন, এজন্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের ভাষণ পর্যন্ত আগে থেকে ঠিক করে রাখা ছিলো। ১৯৬৯ সালের ২১শে জুলাই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সনের কাছে একটা ব্যাকআপ ভাষণপত্র দিয়ে রাখা হয়েছিলো যা শুরু হয়েছিলো এভাবে ' যাঁরা অনুসন্ধান করতে চাঁদে গেলেন, নিয়তি তাঁদের চাঁদেই শান্তিতে চিরশয়নের কথা ভেবে রেখেছিলো'।

মহাকাশ ভ্রমণের সময় স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক, এ দুরকমের মৃত্যু ঘটতে পারে। তবে যখন একজন নভোচারী মহাকাশ ভ্রমণে যান, তাঁর শারীরিক অবস্থার পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট দেখেই তাঁকে মহাশূণ্যে পাঠানো হয়, তাই স্বাভাবিক মৃত্যুর সম্ভাবনা প্রায় শূণ্যের কোঠায়। প্রশ্ন হল, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে কী হতে পারে?

যদি ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনা ঘটে, কিংবা রকেট উড্ডয়নের সময়, তাহলে মৃতদেহ নিয়ে চিন্তার কোনো প্রশ্নই আসে না। বরং সমস্যা হয় যদি মহাশূণ্যে থাকাকালীন কোনো নভোচারীর মৃত্যু ঘটে।

ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের প্রাক্তন কমান্ডার ক্রিস হ্যাডফিল্ড বলেন, 'সবচেয়ে বাজে অবস্থা হবে যদি স্পেসওয়াকের সময় কিছু (মৃত্যু) হয়ে যায়। আপনি ক্ষুদ্র কোনো উল্কাপিন্ড দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারেন এবং এক্ষেত্রে আপনার তেমন কিছুই করার থাকবে না। এটি (উল্কাপিন্ড) আপনার স্পেসস্যুটের মধ্যে ফুটো তৈরী করে দিতে পারে যা আপনাকে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে অসাড় করে দেবে।'

তাহলে এসব ক্ষেত্রে করণীয় কী?

একটি উপায় আছে যেটি হল মৃতদেহটিকে কোনো স্পেস স্যুটে ভরে রেখে দেয়া। কিন্ত এটিও জীবিত নভোচারীদের শারীরিক এবং মানসিক উভয় রকমের ক্ষতি করতে পারে। এছাড়াও মহাকাশযানে মৃতদেহ রাখার মত পর্যাপ্ত জায়গা পাওয়াটাও দূরুহ ব্যাপার।

২০০৫ সাল থেকে পরিবেশবান্ধব ভাবে কবর দেয়া সুইডিশ প্রতিষ্ঠান প্রমেসা এবং নাসা যৌথভাবে 'দ্য বডি ব্যাক' এর একটি ধারণা নিয়ে কাজ করছে, যেখানে মৃতদেহটিকে প্রমেশন নামক একটি পদ্ধতি অনুসরণ করানো হবে।

এই পদ্ধতি অনুযায়ী পৃথিবীতে তরল নাইট্রোজেন ব্যাবহার করে মৃতদেহটিকে ভীষণ ঠান্ডা করে ফেলা হয়। প্রচন্ড ঠান্ডা হওয়ার ফলে মৃতদেহটি ভঙ্গুর হয়ে যায়। পরবর্তীতে শক্তিশালী ঝাঁকুনি দিলে মৃতদেহটি অসংখ্য ছোট ছোট অংশে ভেঙে যায়।

কিন্ত মহাশূণ্যে তরল নাইট্রোজেনের পরিবর্তে মৃতদেহটিকে এয়ার টাইট ব্যাগে ভরে একটি রোবোটিক হাতের সাহায্যে স্পেসশিপ থেকে ঝুলিয়ে দেয়া হবে। মহাশূণ্যের প্রচন্ড ঠান্ডা পরিবেশে এক ঘন্টার মত থাকার পরে যখন মৃতদেহটি ভঙ্গুর হয়ে যাবে, তখন সেই রোবটিক হাতটি ভীষণভাবে নড়তে থাকবে, ফলে মৃতদেহটি চূর্ণ বিচূর্ণ হয়ে যাবে। এ পদ্ধতি অনুসরণে তাত্ত্বিকভাবে ২০০ পাউন্ড ভরবিশিষ্ট একজন নভোচারীর মৃতদেহ মাত্র ৫০ পাউন্ড ভর বহনে সক্ষম একটি স্যুটকেসে ভরে রাখা যাবে। এক্ষেত্রে আর মৃতদেহ রাখার জন্য জায়গার সমস্যা হবে না।

মহাশূণ্যে প্রমেশন পদ্ধতি

এটিও যদি না করা যায়, বা এই পদ্ধতিতে ঝামেলা বেশী থাকে তাহলে শেষ ভরসা হিসেবে জেটিসন করা যেতে পারে। কোনো মহাকাশযান থেকে কোনোকিছুকে বাইরে ফেলে দেয়াকেই জেটিসন বলা হয়। যদিও জাতিসংঘ থেকে মহাশূণ্যে যেকোন কিছু ফেলার ব্যাপারে স্পষ্ট নিষেধ রয়েছে তবুও আশা করা যায় এটি মৃতদেহের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না।


Monday 20 July 2020

মেয়ে দেখতে যেতে কেমন ড্রেস পরা উচিত বর হিসেবে?

মেয়ে দেখতে যেতে কেমন ড্রেস পরা উচিত বর হিসেবে?


করোনার মধ্যে মেয়ে দেখতে গেলে অবশ্যই মাস্ক পড়বেন আর সাথে স্যানিটাইজার নিয়ে নেবেন। গিয়ে ভুলেও হাত মেলাবেন না। পারলে করোনা টেস্ট রিপোর্ট নিয়ে যাবেন। এগুলো ছিলো সতর্কবার্তা 

আপনি এমন পোশাক পড়বেন যা আপনার ব্যাক্তিত্বের সাথে মানানসই। আপনি হয়তো জিন্স প্যান্টের সাথে পোলো শার্ট ব্যাক্তিত্বের মানুষ কিন্তু আপনি মেয়ে দেখতে গেলেন ফর্মাল প্যান্ট আর ফুল স্লিভ শার্ট পড়ে। তখন হবে কী, আপনি নিজেই আপনাকে ঠিক ভাবে তাদের সামনে পরিচয় করিয়ে দিতে পারবেন না। আপনি যাকে পরিচয় করাবেন সে আপনি না, আপনার খোলস।

বিয়ে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার। কিছু লুকানো উচিত না। এতে সম্পর্কটা লম্বা পথ অতিক্রম করতে পারেনা। আপনি যা তা-ই তাদের দেখাবেন। আপনাকে যে পোশাকে সুন্দর মানায় তেমন কিছুই পড়বেন। পোশাক পড়লেই হয়না সেটাকে মানানসই করে নেয়াটাই বেশি জরুরি। দেখতে ভালো লাগলে কথা বলতে ভালো লাগে আর যদি উগ্র আর রংচঙে সাজ পোশাক হয় তাহলে ভালো কথাও শুনতে বিরক্ত লাগে।



Collected from: Quora